মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
সত্য প্রকাশে আপসহীনতার প্রমাণ রেখে বিবর্তন আজ ৩ বছরে পদার্পণ করল। এ আনন্দঘন মুহূর্তে আমরা শুভেচ্ছা জানাই বিবর্তনের অগণিত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীকে।
তাদের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম জগতে বিবর্তনের প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব হতো না। এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। প্রকাশের অল্পদিনের মধ্যেই বিবর্তণ পাঠকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। ক্রমেই হয়ে ওঠে সব মহলে আলোচিত ও প্রশংসিত একটি নিউজ পোর্টাল। ‘গণমানুষের অনলাইন’ বিবর্তনের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে এখনও। এর প্রধান কারণ বস্তুনিষ্ঠ খবর ও বলিষ্ঠ মত প্রকাশে নিউজ পোর্টালটির সাহসী ভূমিকা।
একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে প্রতিদিনই লাখো পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে ভূমিকা রাখতে হয়; দিতে হয় পরীক্ষা। প্রকৃত সংবাদপত্রের দায়িত্ব পালন করে বিবর্তন আগামীতেও সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার প্রত্যয় রাখে।
নিউজ পোর্টালটির সব বিভাগের কর্মী এ লক্ষ্যে উজ্জীবিত ও একাত্ম। বিবর্তন আপস না করে জনস্বার্থে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, কৃষ্টি কালচার, ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার পর একে সংহত ও সার্থক করার ক্ষেত্রে মিডিয়ার যথাযথ ভূমিকার বিষয়েও বিবর্তন সজাগ।
আমরা বিশ্বাস করি, প্রকৃত গণমাধ্যম কখনও জনাকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিতে পারে না। সরকার পরিবর্তন হতে পারে; কিন্তু জনগণ ও দেশ স্থায়ী। বিবর্তনের কাছে দেশের স্বার্থ সব সময়ই সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান পেয়েছে। আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বিবর্তন তা দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করে।
বিবর্তন নিরপেক্ষভাবে সমস্যার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের সম্ভাবনার ওপরও জোর দিয়ে এসেছে। নিউজ পোর্টালটি অর্জন করেছে জনগণের আস্থা। এটাই বিবর্তনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন।
শুরু থেকেই খবর ও মন্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা আঁকড়ে ধরেছি দলনিরপেক্ষতার নীতি। ঘটনার গভীরে গিয়ে সত্যানুসন্ধানের ক্ষমতা বিবর্তনকে করে তুলেছে বিশিষ্ট। ঘটনা, ইস্যু বা বিষয়ের ওপর সম্ভাব্য সব দৃষ্টিকোণ থেকে সত্য প্রকাশ আমাদের সব সময়ের নীতি।
সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বিবর্তন নিজে থেকেই এ বিষয়ে আন্তরিক। দায়িত্বহীন সাংবাদিকতাকে পাঠকও প্রত্যাখ্যান করে থাকে।
সরকার ও বিরোধী দলসহ সংশিষ্ট সব মহলের সমালোচনায় আমরা সবসময়ই দায়িত্বশীল। ভালোকে ভালো ও মন্দকে মন্দ বলতে দ্বিধান্বিত নই। জনগণ চায় সম্ভাব্য সব ধরনের উন্নয়ন। এ লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যমকে সহায়ক শক্তি হিসেবে পাশে দেখতে চায় তারা।
আমাদের মতো দেশে যেখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবিকশিত, সেখানে গণমাধ্যমের সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা বেশি করে প্রয়োজনীয়। এটা গভীরভাবে উপলব্ধি করেই পথ চলছি আমরা। পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করে আরও বলিষ্ঠতার সঙ্গে এগিয়ে যাবে বিবর্তন- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশেষ সম্পাদকীয়
Leave a Reply