মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিপ্লব তালুকদার: খাগড়াছড়িতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান বৈশাখী পূর্ণিমা ও বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন হচ্ছে দিনব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসূচী মধ্য দিয়ে। বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহানির্বাণ লাভসহ ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত শুভ (বৈশাখী) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে জেলা শহরে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বিকেলে।
সকালে শতবর্ষে ঐতিহ্যবাহী খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে য়ংড বৌদ্ধ বিহারে সকালে শত শত বৌদ্ধ ধর্মালম্বী চাকমা, মারমা, রাখাইন ও বড়ুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন য়ংড বিহারে বিশ্বশান্তি কামনায় প্রদীপ পূজা প্রজ্জ্বলন করে। পরে ধর্মদেশনা, সমবেত শীল গ্রহন করা হয়।
বুদ্ধ ধর্ম সংঘ’ ও বিশ্ব শান্তি ধর্ম বানী”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি সাসনা রাক্ষিতা ভিক্ষু সংঘ, য়ংড বৌদ্ধ বিহার ও বাংলাদেশ বুডিষ্ট কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে তথাগত ভগবান বুদ্ধের ত্রি-বার্ষিক বিজড়িত শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে মহা সংঘদান ও ধর্মালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে য়ংড বিহারের আয়োজক কমিটির প্রতিনিধিরা জানান, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত মহা পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত মহা বোধি বৃক্ষের পানি ছিটিয়ে উৎসর্গ করা হয়।
এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। এই দিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন।
ভক্তগণ সন্ধ্যায় প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। এছাড়া বুদ্ধগণ এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করে থাকে
Leave a Reply