বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
বিবর্তন ডেস্ক: মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে সাঈদী ফাউন্ডেশনস্থ কবরস্থানে বড় ছেলে রফিক বীন সাঈদীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে দুপুর সোয়া ১টায় পিরোজপুরের সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে তার প্রথম জানাজা হয়। জানাজার ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। সাঈদীর মরদেহ সকাল ১০টার দিকে সাঈদী ফাউন্ডেশনে পৌঁছায়।
এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধ্যায় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকেল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারাকর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেফতার হন। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা, লুটপাট, ধর্মান্তরিত করানোসহ বিভিন্ন অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তিনি আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। সেই থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন।
Leave a Reply