রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
বিপ্লব তালুকদার :
উপমহাদেশের সর্বকনিষ্ট রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী বিয়ে করেছেন। কনে উখেংচিং মারমা। বৃহষ্পতিবার(০৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় মহা ধুমধামে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের জিরো মাইল এলাকায় মং রাজ বাড়িতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরপরি উখেংচিংকে রাণী হিসেবে বরণ করা হয়। এই বিয়ে ঘিরে জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বিয়ে উপলক্ষে রাজবাড়ী সেজেছে বর্ণিল রঙ্গে।
শুক্রবার দুপুরে বিয়ে পরবর্তী প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে খাগড়াছড়ি এসে পৌছেছেন।
রানী উখেংচিং মারমা পানখাইয়া পাড়া এলাকার অংক্যজাই মারমা ও সুইনাইচিং মারমার মেয়ে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’র পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। আমেরিকার মিনেসোটা ইউনিভার্সিটি থেকে ফেলোশিপ শেষে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন।
১৮৭০ সালে মং সার্কেল, চাকমা সার্কেল ও বোমাং সার্কেল নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩টি পৃথক রাজা প্রথার সুচনা হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রু সাইন বাহাদুর পরলোক গ্রহণ করার পর তাঁহার সহ-ধর্মিনী রানী নীহার দেবী রাজ্যভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বার্ধক্য জনিত রোগের কারণে তিনিও ১৯৯১ সালে পরলোক গমন করেন।
পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে মং রাজার মংপ্রু সাইনের ভ্রাতুষপুত্র জেলা তথ্য কর্মকর্তা পাইহ্লাপ্রু চৌধুরী রাজ্য পরিচালনার দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে বিদেশে একটি সফর শেষে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় রাজা পাইহ্লাপ্রু চৌধুরী মারা যান । এর পরবর্তীতে কম বয়সী পুত্র সাচিংপ্রু চৌধুরী রাজ সিংহাসন আরোহণ করেন।
Leave a Reply