বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫২ অপরাহ্ন
রামগড় প্রতিবেদক: ২রা ডিসেম্বর, পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৯৭ সালের এদিনেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে তৎকালীন শান্তিবাহিনীর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তি চুক্তি) স্বাক্ষরিত হয়েছিলো। সে শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পূর্ণ হলো। গত ২৩ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানেুষের জীবনমান বিস্ময়কর ভাবে বদলে গেছে। পাহাড়ীদের আজকের অগ্রযাত্রার মূল কারিগর এই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তি চুক্তি)।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি গণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বনের জন্য একটি ভিত্তি তৈরী করে দিয়েছে। শান্তি চুক্তি পার্বত্যবাসীর জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। বহু ঘাত-প্রতিঘাত, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, সমগ্র পার্বত্যবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নিরলস ত্যাগ এবং অসামান্য অবদানের বাস্তবচিত্রই হলো আজকের এই দিনটি। শান্তি চুক্তির পর হতে বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা গ্রহণ সাপেক্ষে বাস্তবায়ন করেছে এবং চলমানও রয়েছে।
শান্তিচুক্তির পাশাপাশি পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তাবাহিনীর বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এই দুর্গম সুবিধা বঞ্চিত প্রত্যন্ত পার্বত্য জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সাংস্কৃতি, যাতায়াত ব্যবস্থাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুদূর প্রসারী অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। চুক্তি পরবর্তী সময়ে তিন পার্বত্য জেলায় নিরাপত্তাবাহিনী কর্তৃক সশস্ত্র সন্ত্রাস দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়েও ব্যাপক উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে চলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। বৃটিশ মহকুমা এ অঞ্চলটিতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক পাচার প্রতিরোধসহ স্থানীয় গণমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি) রামগড় জোন।
শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে রামগড় জোনের পক্ষ হতে স্থানীয়দের সময়ে গরীব ও দুস্থ অসহায় মানুষদেরকে আর্থিক সযোগীতা প্রদান, সেলাই মেশিন প্রদান, কম্বল বিতরণ, গবাদি পশু প্রদান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জার উন্নয়নমূলক কাজের সহায়তা প্রদান, গরীব ও অসহায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, রামগড় জোন মহিলা সমিতির মাধ্যমে সেলাই ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
জোন সূত্র জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র পার্বত্যবাসীর নিঃস্বার্থ সহযোগীতায় পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। যার ধারাবাহিকতা রক্ষায় জোন অধিনস্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমুন্নত রেখে সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক পাচার প্রতিরোধসহ স্থানীয় গণমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিজিবির সকল কর্মকান্ড ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply