বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন

নান্দনিক উপস্থাপনায় ফুলকলি’র সমাধিতে বাড়ছে দর্শনার্থী

নান্দনিক উপস্থাপনায় ফুলকলি’র সমাধিতে বাড়ছে দর্শনার্থী

বিপ্লব তালুকদার: পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগলিক গঠনের কারণে ৮০ দশক পর্যন্ত এখানকার জেলা প্রশাসকরা যাতায়াতের জন্য পোষা হাতি ব্যবহার করতেন। পরে শুধু দুর্গম এলাকায় যাতায়াতে ব্যবহৃত হতো হাতি। ১৯৬২ সাল থেকে ’৯০ পর্যন্ত দুর্গম এলাকায় কাজ পরিচালনার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন বাহন হিসেবে যে হাতিটি ব্যবহার করতো, তার নাম ছিলো ‘ফুলকলি’।

১৯৯০-এর ২৭ জুলাই আলুটিলা পাহাড়ের খাদে পড়ে মারা যায় ‘ফুলকলি’। তৎকালীন জেলা প্রশাসক খোরশেদ আনসার খান তাঁর প্রিয় হাতিকে জিরো মাইল এলাকায় কবর দেন। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে ‘ফুলকলি’র কবরস্থান প্রায় জরার্জীণ এবং পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। মানুষও ভুলে যেতে শুরু করে ফুলকলি’র কথা।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের উদ্যোগে ফুলকলি’র স্মৃতি সংরক্ষণে তার কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নান্দনিক উপস্থাপনার কারণে অনেকে দর্শনাথী ফুলকলি’র সমাধি দেখতে আসছেন।

খাগড়াছড়ির ইতিহাসের সংগে হাতির অভিন্ন সর্ম্পক রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস আশা প্রকাশ করেন ফুলকলি’র স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি এই সমাধি পর্যটকদের কাছে আর্কষণীয় হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, ফুলকলি একটি ভালোবাসার গল্প। ফুলকলি’র স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে হাতি ব্যবহারের ঐতিহ্য পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে তুলে ধরতে ‘ফুলকলির সমাধি সৌধ’ গড়ে তোলা হয়েছে।

এখানকার কাচে ঘেরা সমাধিতে ফুলকলি’র ইতিহাসও লেখা আছে। ফুলকলি’র স্মৃতি সংরক্ষণ প্রাণীর প্রতি মানুষের ভালোবাসার নিদর্শন। ১০ টাকা ফি দিয়ে প্রবেশ করা যাবে এই সমাধিতে।

ভাল লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন........

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদিত... © কর্তৃপক্ষদ্বারা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত |২০২০|
Design & Developed BY CHT Technology