মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

রাঙামাটি প্রতিনিধি: পাহাড় এখন পর্যটক মুখর। প্রতিদিন নামছে মানুষের ঢল। বর্তমানে চার থেকে পাঁচ হাজারেরও অধিক পর্যটক অবস্থান করছে রাঙামাটিতে। ঈদের আমেজ আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের পদচারণায় জনারণ্যে পরিণত হয়েছে পাহাড়। শুধু রাঙামাটি নয়, এমন পর্যটন উৎসবে মেতেছে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানও।

শুক্রবার সকাল থেকে জেলার আশপাশের পর্যটকরা আসতে থাকে রাঙামাটিতে। মানুষের ভিড়ে কানায় কানায় ভরে যায় জেলার ট্রেড মার্ক ঝুলন্ত সেতু।

পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর থেকে তিন পার্বত্য জেলার সবগুলো আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসগুলো বুকিং হয়ে গেছে। কোথাও রুম খালি নেই। আছে অগ্রিম বুকিংও।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়ক ও ফুরামন পাহাড়সহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কাপ্তাই হ্রদ নৌ-ভ্রমণের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছে। আবার কেউ প্রকৃতিকে উজাড় করে দিচ্ছে নিজেকে।

স্থানীয়রা বলছেন, বিকালের সূর্যের সোনালি রঙ যখন ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক তখনি মানুষের ভিড় জমে ঝুলন্ত সেতুতে। তখন হ্রদ, পাহাড়ি সবুজ ও রোদের লুকোচুরির দেখা মেলে এখানে। তাতেই মুগ্ধ পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. মানুন বলেন, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স, ডিসি বাংলো পার্ক, পলওয়ে পার্ক, শুভলং ঝর্ণা, আসামবস্তি সড়ক, প্যাদা টিং টিং, বরগ্যাং ও ফুরামন পাহাড়ের মত অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে রাঙামাটিতে। এসব স্থানে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট আর বিনোদন কেন্দ্র। রেস্টুরেন্টগুরোতে মিলছে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বিভিন্ন খাবার। যার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে সবচেয়ে বেশি।

অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে আছে এ অঞ্চলের মানুষের পোশাক ও পণ্য সামগ্রী। যারা ঘুরতে আসছে তারাও ছুটে যাচ্ছে এসব শপিংমলে। ফলে চাঙা হয়ে উঠছে স্থানীয় ক্ষুদ্র পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো। একই সাথে ব্যস্ত সময় পার করছে কাপ্তাই হ্রদের নৌ- ট্যুরিস্ট বোর্ট ব্যবসায়ীরা। দিন রাত ছুটছে তারা কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সর ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, ঈদের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন হাজার পর্যটক আসছে এখানে। নতুন বছর ঘিরে রাঙামাটিতে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রচুর। রাঙামাটি কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলের সবগুলো রুম ১০০ভাগ বুকিং রয়েছে। আর ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটক আসছে অগণিত। শুধু দেশির আশ-পাশের জেলার পর্যটকরাই নয়-এখানে আসছে বিদেশি পর্যটকও। তাদের জন্য নিরাপত্তার কোন কমতি নেই। পর্যটক কেন্দ্রগুলোতে আছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

তিনি আরও বলেন, ‘এবছর আমাদের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে চার কোটি। কারণ, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪হাজার পর্যটক আসছে এখানে। এমনভাবে পর্যটক আসা অব্যাহত থাকলে আশা করি, এবার পর্যটন কমপ্লেক্সে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে আরও কয়েক গুণ।’

ভাল লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন........

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদিত... © কর্তৃপক্ষদ্বারা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত |২০২০|
Design & Developed BY CHT Technology