বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ অপরাহ্ন
বিবর্তন প্রতিবেদক: টানা বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণে খাগড়াছড়ির একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে পৌর শহরের কলাবাগান, শালবন ও সবুজবাগ এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় ২৫টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে দিনের বেলায় হওয়ায় কোন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার চেঙ্গী নদীর পানির বাড়ায় খাগড়াছড়ি শহরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় ৩ হাজার পরিবার। মানিকছড়িতে মাটি ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। সংস্কারে কাজ করছে সেনাবাহিনী। অব্যাহত বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়িতে ধসে গেছে সড়কের মাটি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বর্ষায় আরও অনেকের ঘরবাড়ি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে। প্রাণহানির শঙ্কায় অতি ঝুঁকিতে থাকা ৮০০ পরিবারের জন্য ৭৯ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন।
গত এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা বেড়েছে। বিভিন্নস্থানে ভেঙে পড়ছে গাছপালা। পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতির শঙ্কায় জেলা শহরের শালবাগান, কুমিল্লা টিলা, সবুজবাগ, কলাবাগান এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের সচেতন করতে মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে যেতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম জানান, অনেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, পাহাড় ধসের শঙ্কা বাড়ছে। প্রাণহানি এড়াতে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার উদ্যোগ নেয়ার হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। তবে প্রতি বছর বর্ষা আসলে তৎপর হয় প্রশাসন। কিন্তু এরপর নিরব। স্থানীয়রা চান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে স্থায়ী পুনর্বাসন।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং দুর্যোগ কবলিতদের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলা প্রাণহানির ঝুঁকিতে এড়াতে ৮০০ পরিবারের জন্য ৭৯ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে প্রশাসন। দুর্গতদের জন্য খাবার ও ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply