রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
অন্তর মাহমুদ, মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে গরগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ যাতায়াতের রাস্তাটি ব্রীক সলিং থেকে পাকা রাস্তায় উন্নীত করা হলেও এখনো পর্যন্ত রাস্তাটিতে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি ।
দীর্ঘসময় অতিক্রম শেষে রাস্তাটির পাকাকরণ সম্ভব হলেও গোমতি নদীর ভাঙনের ফলে জনদুর্ভোগ কাটিয়ে রাস্তাটির সুফল ভোগ করতে পারছেনা এ অঞ্চলের সাধারন মানুষ ।
গরগরিয়া এলাকায় অবস্থিত ত্রিপুরা ছাত্রাাবাসের অদুরে ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ লস্কর মিয়ার বাড়ীর পার্শ্বে ভারী বর্ষনে গোমতি নদীতে সৃষ্ঠ প্রবল স্রোতের কবলে দিন দিন ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাটি ।
প্রতিবছর সামান্য পরিমান ভাঙলেও এ বছর বিশাল আকৃতির ফাটল দেখা দিয়েছে রাস্তাটির সেই অংশে । যে কোন সময় ফাটল সহ রাস্তাটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা৷
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, আমরা বর্ষাকালে এ রাস্তা দিয়ে ভয়ে হেঁটে চলতে পারি না । এ সময় রাস্তাটি সাইকেল, মোটরসাইকেল, সিএনজি, পিকাপ, অটোরিকশা সহ সব ধরনের যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় । ধীরে ধীরে নদীভাঙনের কবলে ধান্যজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানে । এলাকাবাসীর উদ্যোগে চলাচলের অনুপযোগী রাস্তাটি ইটের আদলা দিয়ে মেরামত করা হলেও তা যথেষ্ট নয় । যে কোন সময় বর্ষার পানিতে ভেঙে নেওয়ার আশংকা রয়েছে । ফলে দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছি বছরের পর বছর আমরা ।
এ বিষয়ে গোমতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তফাজ্জল হোসেন সরেজমিনে পরিদর্শন করে রাস্তাটির বেহাল অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করে বলেেছন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ এর বরাদ্ধ দিয়ে হবে না । এখানে এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন । এতো বিশালাকৃতির ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনে তিনি খাড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Leave a Reply